আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল রবিবার গণভবনে হতে যাওয়া এই সভায় নির্বাচন ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেবেন তিনি। নির্বাচনের আগে এটিই হতে পারে তৃণমূল কর্মীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বর্ধিত সভা। তাই এই বৈঠককে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর চার মাস। এরিমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনে হতে যাওয়া এই সভায় সারাদেশের জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ প্রায় ৬ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেবেন এই বর্ধিত সভায়। দিনব্যাপী তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কথা শোনার পাশাপাশি নির্দেশনা দেবেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কি করণীয় সেই নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেসেজ দিবেন- দলের মধ্যে যে ছোটখাটো মনোমালিন্য রয়েছে; সেটা ভুলে সবাই মিলে নৌকার মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের কাছে যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেবেন তিনি। নির্বাচনের আগে সব জেলার নেতাদের সাথে কথা বলার পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনার।
কিন্তু জি-টোয়েন্টি সম্মেলন, জাতিসংঘের অধিবেশনসহ কয়েকটি বিদেশ সফর থাকার কারণেই রোববারের এই সভা। যা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করবে বলে মনে করছেন নেতারা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় যারা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তাদের ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে সভায়।